ইমরুল শাহেদ : ‘বাজে ছেলে দি লোফার’ ছবির নির্মাতা মনিরুল ইসলাম সোহেলের পরিচালনায় ২৩ অক্টোবর শুক্রবার এফডিসিতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বেবী ডায়াপারের এই টিভিসিটির শুটিং হলো। আগে বেবী ডায়ার শিল্পটি ছিল আমদানিনির্ভর। এখন প্রায় ষাট শতাংশই দেশে উৎপাদিত হয়। বেবী ডায়াপারের টিভিসিতে কাজ করার আগে তিনি আরো একটি টিভিসিতে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন গায়ক আসিক আকবরের সঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিওতেও। কিন্তু কোনো নাটক বা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি।
যেহেতু তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন সেহেতু এই কাজগুলোর দিকে কখনো মনোযোগ দেননি। মনিরুল ইসলামের সঙ্গে এই টিভিসিতে কাজ করার আগে তার নির্মিত বাজে ছেলে দি লোফার ছবিতেও আরশি কাজ করেছেন। সুতরাং এই ইউনিটে তিনি নতুন কেউ নন। আরশি জানান, এই প্রথম তিনি রিয়াজের সঙ্গে কাজ করেছেন। কাজ করতে গিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। আরশি বলেন, ‘রিয়াজ আমার সিনিয়র শিল্পী। এক সময় তার ছবি দেখে মুগ্ধ হতাম। সুতরাং তার সঙ্গে কাজ করতে গেলে ভালো তো লাগবেই।’
আরশি বলেন, ‘কোভিড এবং অন্য কারণে প্রায় এক বছর ক্যামেরা থেকে অফ ছিলাম। এক বছর পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ আনন্দ পেলাম। কারণ আমিতো ক্যামেরারই সন্তান। আমি ক্যামেরাকে ভালোবাসি, ক্যামেরাও আমাকে ভালোবাসে। আশা করি এই টিভিসিটি একটি ভালো কাজ হয়েছে।
রিয়াজের সঙ্গে টিভিসি না হয়ে যদি এটি একটি চলচ্চিত্র হতো তাহলে তার অনুভূতি কেমন হতো জানতে চাওয়া হলে আরশি বলেন, ‘খুবই ভালো লাগতো এবং এই মন্দার বাজারে হয়তো আমরা একটি বাণিজ্য সফল ছবি দর্শককে উপহার দিতে পারতাম। তবে ভবিষ্যতে যে হবে না, সেটা তো নয়। এই টিভিসিটির প্রচার শুরু হলে, নির্মাতারা হয়তো আমাদেরকে নিয়ে ভাবতেও পারেন।’
এছাড়া সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে তিনি নতুন আরেকটি টিভিসিতেও কাজ করতে পারেন। আরশি বর্তমানে রোহিঙ্গা, কোভিন-১৯ ও সবুজ ছায়া ছবিতে কাজ করছেন।
Leave a Reply